যান্ত্রিক বন্ধনী ও গিয়ার অঙ্কন (দ্বিতীয় অধ্যায়)

এসএসসি(ভোকেশনাল) - মেকানিক্যাল ড্রাফটিং উইথ ক্যাড-১ দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | - | NCTB BOOK
391
391

যন্ত্র বা যন্ত্রাংশ সংযোজনের কাজে আমরা প্রায়শই যান্ত্রিক বন্ধনী বা মেকানিক্যাল ফ্যাসেনার (Mechanical Fastener) ব্যবহার করি। ছোট থেকে বড় সকল মেশিনারিজ সংযোজনের ক্ষেত্রে প্রয়োজন রয়েছে যান্ত্রিক বন্ধনীর। বাইসাইকেল থেকে শুরুকরে মহাকাশ যান কোনটিতে নেই যান্ত্রিক বন্ধনী। স্টীল স্ট্রাকচার গঠনেও রয়েছে যান্ত্রিক বন্ধনীর ব্যবহার।

যান্ত্রিক শক্তি স্থানান্তরে পিয়ারের রয়েছে অনন্য ব্যবহার। এটি শুধু যান্ত্রিক শক্তি স্থানান্তরিত করেনা এটি গভির হ্রাস বৃদ্ধি গটিরে সরবরাহ করে কাঙ্খিত গতি। বেশির ভাগ মেশিনারিজে যান্ত্রিক শক্তি স্থানান্তরে গিয়ারের ব্যবহার হয়ে থাকে। এখন পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে ব্যবহৃত যান্ত্রিক শক্তি স্থানাধরের সবচেয়ে পুরোনো এবং বিশ্বস্ত মাধ্যম হচ্ছে এটি। এ অধ্যায়ে আমরা যান্ত্রিক বন্ধনী ও গিয়ার অঙ্কন সম্পর্কে জানৰো।

এ অধ্যায়ে শেষে আমরা-

১. কাজের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি গ্রহন করতে পারবো। 

২. স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি অনুসরন করে কাজ সম্পাদন করতে পারবে এবং কাজের প্রয়োজন অনুসারে যান্ত্রিক ড্রয়িং ব্যাখ্যা করতে পারবো। 

৩. জবের প্রয়োজন অনুসারে প্রাইমারি সেট-আপ করতে পারবো। 

৪. যান্ত্রিক বন্ধনী অঙ্কন ও এগুলির ব্যাখ্যা করতে পারবো। 

৫. গিয়ার অঙ্কন ও এদের বিভিন্ন অংশের নাম সম্পর্কে জানতে পারবো। 

৬. পিন ও কাটার জয়েন্ট বর্ণনা করতে পারবো। 

৭. টুলস ও সরঞ্জমাদি পরিষ্কার এবং যথাস্থানে সংরক্ষণ করতে পারবো।

উপরুক্ত শিখনফল গুলো অর্জনের লক্ষে এ অধ্যয়ে আমরা যান্ত্রিক বন্ধনী ও গিয়ার অঙ্কনের কৌশল ও দক্ষতা অর্জন করব। যান্ত্রিক বন্ধনী ও গিয়ার অংকনের যথাযথ কৌশল রপ্তকরার উদ্দেশ্যে প্রথমে আমরা-এ সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তাত্ত্বিক জ্ঞান অর্জন করবো এবং জব গুলো সম্পন্ন করার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জন করব।

 

 

common.content_added_by

যান্ত্রিক বন্ধনী (১)

216
216

যান্ত্রিক বন্ধনী (Mechanical Fastener):

যে বস্তু অন্য বস্তুকে আঁকড়ে ধরে তাকে ইংরেজিতে ফ্যাসেনার বলে। যান্ত্রিক বন্ধনীর উল্লেখযোগ্য সামগ্রী হলো নাট-বোল্ট,স্ক্রু, রিভেট, পিন, ওয়েল্ডিং ইত্যাদি।

ফ্যাসেনার দুই প্রকার। যথা- 

১) স্থায়ী ফ্যাসেনার এবং 

২) অস্থায়ী ফ্যাসেনার

রিভেট এবং ওয়েল্ডিং স্থায়ী আবদ্ধকারী বস্তু বা ফ্যাসেনার। অপরদিকে, নাট-বোল্ট, স্ক্রু, কী ইত্যাদি অস্থায়ী আবদ্ধকারী বস্তু বা ফ্যাসেনার। অস্থায়ী ফ্যাসেনার প্রয়োজনে খোলা এবং লাগানো যায় কিন্তু স্থায়ী ফ্যাসেনারগুলো খোলা যায় না। ভাঙ্গা হলে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী থাকে না।

 

common.content_added_by

যান্ত্রিক বন্ধনীর প্রকারভেদ (২)

195
195

যান্ত্রিক বন্ধনীর প্রকারভেদ (Type of Mechanical Fastener):

বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সংযোজনের কাজে বিভিন্ন ধরনের যান্ত্রিক বন্ধনী (Mechanical Fastener) ব্যবহার হয়। নিচে বিভিন্ন প্রকার যান্ত্রিক বন্ধনীর নাম উল্লেখ করা হল-

১. নাট(Nut) 

২. বোল্ট (Bolt) 

৩. স্ক্রু (Screw ) 

৪. ওয়াসার(Washer) 

৫. কী এন্ড কী ওয়ে (Key and key-way ) 

৬. স্টাডস(Stud) 

৭. রিভেট (Rivet)

৮. এনকর (Anchor ) 

৯. নেইলস(Nail) 

১০. ইনসার্টস(Inserts) 

১১. রিটেইনিং রিং(Retaining ring 

১২. ক্রেডিসপিনস এন্ড কাটার পিনস (Clevis Pins and cotter pin)

 

 

common.content_added_by

নাট, বোল্ট ও ওয়াশার এর ব্যবহার ও প্রকারভেদ

2k
2k

নাট, বোল্ট ও ওয়াশার রয়েছে ব্যপক ব্যবহার নিচে এদের ব্যবহার ও প্রকারভেদ নিয়ে আলোচনা করা হল-

বোল্ট (Bolt):

বোল্ট দেখতে সিলিন্ডারের মতো। এর এক মাথায় হেড এবং অপর মাথায় থ্রেড করা থাকে। একটি যন্ত্র অনেকগুলো যন্ত্রাংশের সমন্বয়ে গঠিত। যন্ত্রাংশগুলোকে একে অপরের সাথে জোড়া দেওয়ার জন্য বোষ্ট ও নাট ব্যবহার করা হয়। যন্ত্র ছাড়াও ইস্পাতের বিভিন্ন অবকাঠামো যেমন- ব্রিজ, টাওয়ার, শেড, বিল্ডিং ইত্যাদি নির্মাণে নাট বোল্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

চিত্রে একটি হেক্সাসাগোনাল বোল্ট-এর বিভিন্ন অংশ দেখানো হয়েছে। হেডের গঠনের উপর ভিত্তি করে বোল্টকে বেশ কয়েক ভাগে ভাগ করা হয়েছেযা পরবর্তি অনুচ্ছেদে আলোচনা করা হয়েছে।

বোল্টের প্রকারভেদ(Type Bolt):

বোল্ট বিভিন্ন প্রকারের হয়, তার মধ্যে সচরাচর ব্যবহৃত বোল্ট সমূহের প্রকারভেদ তুলে ধরা হল- 

১. হেক্সাগোনাল বোল্ট

২. স্কয়ার বোল্ট 

৩. টি-হ্যাভ বোস্ট 

৪. কাপ হ্যাড বোল্ট 

৫. চ্যাস হ্যাড বোল্ট 

৬. কাউন্টার সেল্ফ হেড বোল্ট 

৭. আইহ্যাড বোল্ট 

৮. হুহ্যাড বোস্ট 

৯. হ্যাডলেস বোল্ট 

১০. হ্যাডলেস টেপার বোল্ট 

১১. চিজ হেডেড বোল্ট 

১২. এল- সেপ এন্কর বোষ্ট 

১৩. টেনশন বোল্ট 

১৪. ক্যারেজ বোল্ট 

১৫. ফ্রাঞ্জ বোল্ট

 

হেক্সাগোনাল হেডেড বোল্টের বিভিন্ন ভিউ(Different view of Hexagonal Headed Bolt):

স্কয়ার হেডেড বোল্টের বিভিন্ন ভিউ (Different view of Square Headed Bolt): 

 

 

common.content_added_by

বিভিন্ন প্রকার বোল্ট অংকনের দক্ষতা অর্জন (জব-২)

225
225

ইঞ্জিনিয়ারিং কর্মকান্ডে ভিন্ন ধরনের বোল্ট ব্যবহৃত হয় এই বোল্ট সমূহ অংকনের পদ্ধতি নিম্নে আলোচনা করা হল।

পারদর্শিতার মানদন্ড: 

১. স্বাস্থ বিধি মেনে ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা পোষাক (পিপিই) পরিধান করা : 

২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রভুত করা; 

৩. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুল্স, মেটেরিয়ালস ও ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ ও প্রস্তুত করা; 

৪. ড্রয়িং করার নিমিত্তে ড্রয়িং শীট প্রস্তুত করা;

৫. প্রদত্ত ড্রয়িং সম্পন্ন করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করা; 

৬. প্রদত্ত ড্রয়িং অনুসারে কাজের ধাপ অনুসরন করে বিভিন্ন ধরনের বোল্ট অংকন সম্পন্ন করা; 

৭. কাজ শেষে কাজের স্থান ও যন্ত্রপাতি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং চেক লিষ্ট অনুযায়ী যথা স্থানে সংরক্ষনকরা;

 

ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম (PPE):

 

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (Required Equipment):

 

অংকনের পদ্ধতি/ধাপ:

১. প্রয়োজনীয় পিপিই নির্বাচন করে সংগ্রহ করব এবং পরিধান করবো। 

২. সঠিক সাইজের ড্রয়িং শীট নির্বাচন করব এবং মাপ অনুযায়ী বর্ডার লাইন টানবো। 

৩. প্রয়োজন অনুযায়ী পেনসিল সিলেকশান করে ব্যবহার করবো। 

৪. এরপর হেক্সাগোনাল বোল্ট এর প্রোপাটিজ ভালভাবে অনুশীলন করবো। 

৫. মেজারমেন্ট অনুযায়ী হেক্সাগোনাল বোল্ট অনুসরন করে অংকন শুরু করবো। 

৬. এখন প্রদত্ত প্রোপার্টিজ অনুসরন করে প্রথমে ফ্রন্ট ভিউ আংকন করবো।

৭. এরপর ফ্রন্ট ভিউর সাথে এলাইন করে টপ ভিউ এবং সাইট ভিউ অংকন করবো। 

৮. বোল্টের যে অংশে থ্রেড আছে সে অংশে চিত্র অনুযায়ী ডাবল লাইন দিবো। 

৯. সিলিন্ড্রিক্যাল অংশের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী সেন্টার লাইন ব্যবহার করবো। 

১০. অংকন যে মেজারমেন্ট অনুযায়ী করা হয়েছে সেগুলি ডাইমেনশন লাইনের মাধ্যমে দিয়ে দিবো। 

১১. একই পদ্ধতি অবলম্বন করে চিত্র অনুযায়ী স্কায়ার বোল্ট অংকন করবো। 

১২. একই পদ্ধতি অবলম্বন করে চিত্র অনুযায়ী ফাউন্ডেশন বোল্ট (Foundation Bolt) অংকন করবো। 

১৩. একই পদ্ধতি অবলম্বন করে চিত্র অনুযায়ী টি হেড বোল্ট (T-Headed Bolt) অংকন করবো।

১৪. একই পদ্ধতি অবলম্বন করে চিত্র অনুযায়ী ডাবল হেড স্টাড বোল্ট (Double End Stud Bolt)অংকন করবো। 

১৫. ড্রয়িং করার সময় কোন স্কেলিং এর ব্যবহার হলে সেটির অনুপাত ড্রয়িং শীটে উল্লেখ করবো। 

১৬. কাজ শেষে সরঞ্জাম সমূহ পরিষ্কার করে যথা স্থানে সংরক্ষন করবো।

সতর্কতা

১. কাজের সময় মাস্ক ব্যবহার করব। 

২. সঠিক নিয়মে টেৰিলে ড্রয়িং শীট স্থাপন করব। 

৩. ড্রয়িং করার স্থানে পর্যাপ্ত লাইটিং এর ব্যবস্থা করে নিব।

৪. সঠিক পরিমাপ বজায় রেখে ড্রয়িং শীটে বর্ডার লাইন টানব এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পেনসিল সিলেকশান এবং সার্ফ করব বা লিড পেনসিল সেট করে নিব। 

৫. ড্রয়িং-এর একই জায়গায় বারবার দাগ টানৰো না, এতে ড্রয়িং এর সোন্দর্য্য নষ্ট হবে। 

৬. মাঝে মাঝে পরিষ্কার নেকরা দিয়ে হাত ও ড্রয়িং শীট পরিস্কার করে নিব।

 

অর্জিত দক্ষতা: বিভিন্ন প্রকার বোল্ট অংকনের দক্ষতা অর্জিত হয়েছে। যা বাস্তব ক্ষেতে যথাযথ ভাবে প্রয়োপ করা সম্ভব হবে।

 

 

common.content_added_by

নাট

310
310

নাট এক ধরনের হার্ডওয়ার ফ্যাসনার যার মাঝে একটি হোল বা ছিদ্র করা থাকে এবং হোলের ভিতর থ্রেড করা থাকে। বোস্ট বা স্টাডের সাথে নাট ব্যবহৃত হয়। নাট এক পন্থা, দুই পদ্মা বা বহু পন্থা বিশিষ্ট হতে পারে। কাজের ধরন এবং যন্ত্রের প্রয়োজন অনুসারে নাট বিভিন্ন প্রকার হতে পারে। নাটের বাহ্যিক গঠনের উপর ভিত্তি করে নাটকে দশ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। চিত্র নং- ৬.৬-এ একটি নাটের চিত্র ও চিত্র নং-৬.৭-এ একটি নাটের বিভিন্ন ভিউ দেখানো হয়েছে।

 

 

common.content_added_by

বিভিন্ন প্রকার নাট তৈরির/অংকনের দক্ষতা অর্জন (জব-১)

295
295

ইঞ্জিনিয়ারিং কর্মকান্ডে ভিন্ন ধরনের নাট ব্যবহৃত হয় এই নাট সমূহ অংকনের পদ্ধতি নিম্নে আলোচনা করা হল।

পারদর্শিতার মানদন্ড :

১. স্বাস্থ বিধি মেনে ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা পোষাক (পিপিই) পরিধান করা; 

২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা; 

৩. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুল্স, মেটেরিয়ালস ও ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ ও প্রস্তুত করা; 

৪. ড্রয়িং করার নিমিত্তে ড্রয়িং শীট প্রস্তুত করা; 

৫. প্রদত্ত ড্রয়িং সম্পন্ন করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করা; 

৬. প্রদত্ত ড্রয়িং অনুসারে কাজের ধাপ অনুসরন করে বিভিন্ন ধরনের নাট ড্রয়িং সম্পন্ন করা; 

৭. কাজ শেষে কাজের স্থান ও যন্ত্রপাতি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং চেক লিষ্ট অনুযায়ী যথা স্থানে সংরক্ষন করা;

 

 

অংকনের ধাপ: 

১. প্রয়োজনীয় পিপিই নির্বাচন করে সংগ্রহ করব এবং পরিধান 

২. সঠিক সাইজের ড্রয়িং শীট নির্বাচন করব এবং মাপ অনুযায়ী বর্ডার লাইন টানবো । 

৩. প্রয়োজন অনুযায়ী পেনসিল নির্বাচন করে ব্যবহার করবো।

৪. এরপর হেক্সাগোনাল নাট এর প্রোপার্টিজ ভালভাবে স্টাডি করে নিবো। 

৫. এর পর প্রোপাটিজ অনুযায়ী হেক্সাগোনাল নাট চিত্র অনুসরন করে অংকন শুরু করবো । 

৬. এখন প্রদত্ত প্রোপাটিজ অনুসরন করে প্রথমে ফ্রন্ট ভিউ অংকন করবো । 

৭. এরপর ফ্রন্ট ভিউর সাথে এলাইন করে টপ ভিউ এবং সাইট ভিউ অংকন করবো। 

৮. নাটের যে অংশে হোল বা ছিদ্র এবং থ্রেড আছে সে অংশে ডটেড লাইন দেবো। 

৯. সিলিটিক্যাল অংশের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী সেন্টার লাইন ব্যবহার করবো 

১০. অংকন যে মেজারমেন্ট অনুযায়ী করা হয়েছে সেগুলি দিয়ে দিবো। 

১১. একই পদ্ধতি অবলম্বন করে চিত্র অনুযায়ী স্কয়ার নাট অংকন করবো । 

১২. একই পদ্ধতি অবলম্বন করে চিত্র অনুযায়ী ডোম নাট অংকন করবো। 

১৩. একই পদ্ধতি অবলম্বন করে চিত্র অনুযায়ী রিং নাট অংকন করবো। 

১৪. ড্রয়িং করার সময় কোন স্কোলিং এর ব্যবহার হলে সেটির অনুপাত ড্রয়িং শীটে উল্লেখ করবো। 

১৫. কাজ শেষে সরঞ্জাম সমূহ পরিষ্কার করে যথা স্থানে সংরক্ষন করবো ।

সতর্কতা

৭. কাজের সময় নাক ব্যবহার করবো। 

৮. নিলে ফরিং পাঁচ স্থাপন করবো।

৯. ড্রয়িং করার স্থানে পর্যাপ্ত লাইটিং এর ব্যবস্থা করে নিবো।

১০. সঠিক পরিমাপ বজায় রেখে ফরিং শীটে বর্ডার লাইন টানৰ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পেনসিল সিলেকশন এবং সার্ক করবো বা লি পেনসিল সেট করে নিবো। 

১১. ছসিং-এর একই জায়গায় বারবার দাগ টানবো না এতে ছয়িং এর সোম্পর্ক নষ্ট হবে। 

১২. মাঝে মাঝে পরিষ্কার নেকরা দিয়ে হাত য়িং পাঁচ পরিষ্কার করে নিবো।

অর্জিত দক্ষতা: বিভিন্ন প্রকার নাট অংকনের দক্ষতা অর্জিত হয়েছে। মা বাস্তব কাজে যথাযথ ভাৰে প্ৰয়োগ করা সম্ভব হবে। 

 

 

common.content_added_by

ওয়াসার

361
361

বোল্ট হেড এবং নাটের নিচে ওয়াসার ব্যবহার করা হয়। খন্ড খন্ড বস্তুকে অস্থায়ীভাবে জোড়া দিতে বোল্ট ও নাটের সাথে ওয়াসার ব্যবহার করে ফ্যাসেনিং এরিয়া বাড়ানো যায় ।

বাজারে বেশ কয়েক ধরনের ওয়াসার পাওয়া যায়। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- 

১) প্লেইন ওয়াসার, 

২) ট্যাপার ওয়াসার এবং 

৩) স্প্লিট ওয়াসার বা স্প্রিং ওয়াসার।

 

বোল্ট এবং স্ক্রু (Bolt and Screw ) :

সাধারণভাবে বোল্ট এবং স্ক্রুর  মধ্যে তেমন কোনো তফাৎ খুঁজে পাওয়া যায় না যা সর্বজন স্বীকৃত। তদুপুরি বোল্ট এবং স্ক্রুর  মধ্যে যে সকল তফাৎ দেখা যায় তা নিচে উল্লেখ করা হলো-  

১। বোস্ট এক প্রকার আঁকড়ে ধরার বস্তু যার পারে প্লেড করা থাকে। বোল্টকে দুই বা ততোধিক খন্ডাংশের ছিদ্রের ভিতর ঢুকিয়ে বোল্ট হেডের অপর প্রান্তে নাট লাগিয়ে লুজ বা টাইট দেয়া যায়। 

২। স্ক্রু  আঁকড়ে ধরার বস্তু। এর পায়ে থ্রেড করা থাকে। সংযোজনের উদ্দেশ্য দুই বা ততোধিক খণ্ডাংশ পাশাপাশি রেখে স্ক্রুর  মাথা ঘুরালে বস্তুর ছিদ্রের মধ্যে গ্রেড করে ঢুকে যায় বা পূর্বে করা থ্রেডের মধ্যে অগ্রসর হয়ে খন্ডাংশগুলোকে আঁকড়ে ধরে।

 

common.content_added_by

মেশিন-স্ক্রু ও সেট-স্ক্রু এর ব্যবহার সম্পর্কে বর্ণনা

272
272

মেশিন স্ক্রু (Machine Screw) 

ASME (American Society of Mechanical Engineers ) -এর প্রাভার্ড অনুযায়ী ইঞ্চি পর্যন্ত সাইজের বিভিন্ন মেশিন স্ক্রু ক্যাপ স্ক্রু হিসেবে কাজ করে। বোল্টের সাথে মেশিন স্ক্রুর তফাৎ মুলত তাদের সাইজ দিয়ে নির্ধারিত হয়। সাইজ অপেক্ষাকৃত ছোট হলে সেগুলো স্ক্রুর পর্যায়ে পড়ে এবং এগুলোকে মেশিন স্ক্রু বলে। স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে খোলা এবং লাগানোর সুবিধার্থে স্ক্রুর মাথার স্লট কাটা থাকে ।

 

সেট স্ক্রু  (Set Screw)

মাথা ছাড়া স্ক্রু অথবা মাথাওয়ালা যে কোনো ধরনের স্ক্রু, যেগুলো ঘূর্ণীয়মান শ্যাফটের সাথে হুইল, গুলি, গিয়ার ইত্যাদিকে ফিট করার কাজে ব্যবহৃত হয় তাকে সেট স্ক্রু বলে। সেট স্ক্রুর মাথা স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে ঘুরালে উভয় যন্ত্রাংশের পূর্বের করা খেতের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়ে শ্যাফট ও পুলিকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরে। বিভিন্ন ধরনের সেট স্ক্রু বাজারে পাওয়া যায়। অধিক ব্যবহৃত সেট ক্ষুর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সকেট সেট স্ফু। এ ধরনের স্ক্রু খোলা ও লাগানোর জন্য হেক্সাগোনাল কী ব্যবহার করা হয়।

 

common.content_added_by

মেশিন স্ক্রু তৈরির/অংকনের দক্ষতা অর্জন (জব-৪)

211
211

ইঞ্জিনিয়ারিং কর্মকান্ডে ভিন্ন ধরনের মেশিন ও স্ক্রু ব্যবহৃত হয়। নিম্নে মেশিনস্ফুঅংকনের পদ্ধতি আলোচনা করা হল।

পারদর্শিতার মানদন্ড : 

১. স্বাস্থ বিধি মেনে ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা পোষাক (পিপিই) পরিধান করা; 

২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা; 

৩. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুল্স, মেটেরিয়ালস ও ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ ও প্রস্তুত করা; 

৪. ড্রয়িং করার নিমিত্তে ড্রয়িং শীট প্রস্তুত করা; 

৫. প্রদত্ত ড্রয়িং সম্পন্ন করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করা; 

৬. প্রদত্ত ড্রয়িং অনুসারে কাজের ধাপ অনুসরন করে বিভিন্ন ধরনের মেশিনস্ফুঅংকন সম্পন্ন করা; 

৭. কাজ শেষে কাজের স্থান ও যন্ত্রপাতি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং চেক লিষ্ট অনুযায়ী যথা স্থানে সংরক্ষন করা;

 

অংকনের ধাপ: 

১. প্রয়োজনীয় পিপিই নির্বাচন করে সংগ্রহ করব এবং পরিধান করবো। 

২. সঠিক সাইজের ড্রয়িং শীট নির্বাচন করব এবং মাপ অনুযায়ী বর্ডার লাইন টানবো । 

৩. প্রয়োজন অনুযায়ী পেনসিল সিলেকশান করে ব্যবহার করবো। 

৪. এরপর চাবি ও চার্বির ঘাট এর প্রোপার্টিজ ভালভাবে স্টাডি করবো। 

৫. প্রোপাটিজ অনুযায়ী রাউন্ড হেড স্কু,অনুসরন করে অংকন শুরু করবো। 

৬. প্রথমে প্রোপাটিজ অনুসরন করে চিত্রের ন্যায় ক্ষু-এর হেড সহ বোল্ট অংকন করবো। 

৭. এরপর স্ক্রু-এর থ্রেড অংকন করবো। 

৮. প্রয়োজন অনুযায়ী সেন্টার লাইন ব্যবহার করবো। 

৯. অংকন যে মেজারমেন্ট অনুযায়ী করা হয়েছে সেগুলি ডাইমেনশন লাইনের মাধ্যমে দিয়ে দিবো। 

১০. একই পদ্ধতি অবলম্বন করে প্লেট হেড ক্ষু অংকন করবো।

১১. একই পদ্ধতি অবলম্বন করে হেক্সাগোনাল হেড ক্ষু, চিজি হেড ক্ষু, ওভাল হেড ক্ষু ও সকেট হেড স্কু অংকন করবো। 

১২. ড্রয়িং করার সময় কোন স্কোলিং এর ব্যবহার হলে সেটির অনুপাত ছরিং শীটে উল্লেখ করবো। 

১৩. কাজ শেষে সরঞ্জাম সমূহ পরিষ্কার করে যথা স্থানে সংরক্ষন করবো।

 

সতর্কতা

১. কাজের সময় মাস্ক ব্যবহার করবো।

২. সঠিক নিয়মে টেবিলে ড্রয়িং শীট স্থাপন করবো। 

৩. ড্রয়িং করার স্থানে পর্যাপ্ত লাইটিং এর ব্যবস্থা করে নিবো। 

৪. সঠিক পরিমাণ ৰজায় রেখে ড্রয়িং শীটে বর্ডার লাইন টানব এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পেনসিল সংগ্ৰহ ও সার্ফ করব অথবা নিত পেনসিল সেট করে নিবো।

৫. ড্রয়িং-এর একই জায়গায় বারবার দাগ টানবো না, এতে ড্রয়িং এর সোন্দর্য্য নষ্ট হবে। 

৬. মাঝে মাঝে পরিষ্কার নেকরা দিয়ে হাত ও ড্রয়িং শীট পরিষ্কার করে নিবো।

অর্জিত দক্ষতা: ফুল সেকশান ভিউ অংকনের দক্ষতা অর্জিত হয়েচে। যা ৰান্তৰ কাজে যথাযথ ভাবে প্রয়োগ করা সম্ভব হবে।

 

 

common.content_added_by

বিভিন্ন প্রকার চাবি ও চার্বির ঘটা এর বিবরণ

248
248

কী ও কীওয়েজ (Key and Keyways) :

কী(Key): শ্যাফটের সাথে হইল, গিয়ার, পুলি, স্প্রোকেট ইত্যাদি সংযোগ দেওয়ার জন্য Key ব্যবহার করা হয়। ইহা একটি ধাতু খন্ড। শ্যাফট এবং হুইলের হাবের মাঝে কী প্রবেশ করানো হয়। যাতে ঘূর্ণায়নের সময় শ্যাফট এবং হুইল পিছলে না যায়।

Proportion of Key: যে শ্যাফটে কী ফিট করা হবে তার ব্যাসের উপর কী এর অনুপাত গুলো নির্ভর করে। যদি ডায়ামিটার = D হয়, তা হলে-

 

common.content_added_by

কী-এর শ্রেণি বিন্যাস

220
220

কী-এর শ্রেণি বিন্যাস (classification of Keys):

Key-এর আকৃতি এবং এর কাজের উপর ভিত্তি করে Key কে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা- 

১) সাঁংক কী (Sunk Key), অর্থ্যাৎ শ্যাফট ও হুইলের হার গুডের মধ্যে যে Key বসে তাকে সাক্ষ কী বলে এবং 

২) স্যাডেল কী (Saddle key), এধরনের কী শ্যাফটের উপ বসানো থাকে। যা হাবের প্রুডের মধ্যে ঠেলে ঢোকানো হয় ।

স্যাডেল কী (Saddle Key ) :

স্যাডেল কী-এর নাম থেকে বুঝা যায় যে, এর অবস্থান হবে শ্যাফটের উপর। কম পরিমাণ পাওয়ার ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে এ ধরনের কী ব্যবহার করা হয়। স্যাডেল কী দুই প্রকার। যথা- 

১) হেলো (Hollow) স্যাডেল কী এবং ২) ফ্লাট স্যাডেল (Flat Saddle) কী।

 

common.content_added_by

চাবি ও চাবির ঘাট অংকন

202
202

চাৰি ও চারি ঘাট অংকন (Kay and Keyway Drawing) :

শ্যাফটের ব্যাসের উপর ভিত্তি করে চাবির অনুপাত নির্ধারিত হয়। নিচে চিত্রে জিব হেড কী-এর একটি পিকটোরিয়েল ভিউ দেখানো হয়েছে, এর সাথে জিব হেড কী-এর বিভিন্ন অনুপাত থেকে এর বার্ড অ্যাস্পেন্স প্রজেকশন অংকন।

 

 

common.content_added_by

কীওয়ে

205
205

কীওয়ে (Keyway) :

শ্যাফটের উপরিতলে key বসানোর জন্য একটি প্রুভ করা থাকে। এই গ্রুভের গভীরতা key উচ্চতার অর্ধেকের সমান। এই প্রুস্তকে Keyway বলে। অন্যদিকে হুইল, গিয়ার, পুলি, স্প্রোকেট ইত্যাদির Hub-এ অনুরূপ আর একটি প্রুভ করা থাকে। দুই গ্রুজের মাঝে Key বসিয়ে উভয় যন্ত্রাংশকে সংযুক্ত করে একক ইউনিটে পরিণত করা হয়। ৫.১৬ নং ছবিতে Keyway দেখানো হয়েছে।

সাংক কী-এর প্রকারভেদ (Types of Sunk Keys ) :

গঠন অনুসারে Sunk Key কে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়। যথা- 

১. প্যারালাল সাঙ্ক কী (Parallel Key) যেমন- ফ্লাট ও স্কয়ার কী (Flat and Square Key ) 

২. ট্যাপার সাঙ্ক কী (Taper Key )

 

ফ্লাট ও স্কয়ার কী (Flat and Square Key):

অধিক প্রচলিত Key-এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফ্লাট এবং স্কয়ার Key। এদের চওড়া সাধারণত শ্যাফটের কে চতুর্থাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে। নিচে চিত্রে ফ্লাট ও স্কয়ার কাজ দেখানো হলো-

 

প্রাট এন্ড হইটনী কী ( Pratt and Whitney Key )

চিত্র নং-২০.১৬ এ একটি প্লাট এন্ড হুইটনী কী দেখানো হয়েছে। এটা দেখতে আয়তকার প্রিজমের মতো কিন্তু এর কোনাগুলো গোলাকার।

উডরাফ কী (Woodruff Key )

উডরাফ কী দিয়ে আটকানো একটি শ্যাফট অ্যাসেম্বলি নিচের ছবিতে দেখানো হলো। এর আকৃতি অর্থ চন্দ্রাকৃতির। কীওয়েজের আকৃতি কী-এর অনুরূপ। কীওয়েজের গভীরতা কী উচ্চতার অর্ধেক। এর মাপের অনুপাতগুলো নিচে চিত্রে দেওয়া হয়েছে।

 

 

common.content_added_by

চাবি ও চাবির ঘাট তৈরির /অংকনের দক্ষতা অর্জন (জব-৩)

224
224

ইঞ্জিনিয়ারিং কর্মকান্ডে ভিন্ন ধরনের চাবিওচাবিরঘাট ব্যবহৃত হয়। নিম্নে চাবিওচাবিরঘাট অংকনের পদ্ধতি আলোচনা করা হল ।

পারদর্শিতার মানদন্ড : 

১. স্বাস্থ বিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পোষাক (পিপিই) পরিধান করা; 

২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা; 

৩. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুল্স, মেটেরিয়ালস ও ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ ও প্রস্তুত করা; 

৪. ড্রয়িং করার নিমিত্তে ড্রয়িং শীট প্রস্তুত করা; 

৫. প্রদত্ত ড্রয়িং সম্পন্ন করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করা; 

৬. প্রদত্ত ড্রয়িং অনুসারে কাজের ধাপ অনুসরন করে বিভিন্ন ধরনের চাবি ও চাবিরঘাট অংকন সম্পন্ন করা; 

৭. কাজ শেষে কাজের স্থান ও যন্ত্রপাতি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং চেক লিষ্ট অনুযায়ী যথা স্থানে সংরক্ষনকরা;

 

 

অংকনের পদ্ধতি/ধাপঃ

১. প্রয়োজনীয় পিপিই নির্বাচন করে সংগ্রহ করব এবং পরিধান করবো। 

২. সঠিক সাইজের ড্রয়িং শীট নির্বাচন করব এবং মাপ অনুযায়ী বতার লাইন টানবো । 

৩. প্রয়োজন অনুযায়ী পেনসিল সিলেকশান করে ব্যাবহার করবো । 

৪. এরপর চাবিওচাবিরঘাট এরপ্রোপাটিজ ভালভাবে স্টাডি করে নিবো। 

৫. এর পর প্রোপাটিজ অনুযায়ী চাবিওচারিঘাটচিত্র-১০.৫১ অনুসরন করে অংকন শুরু করবো । 

৬. প্রথমে প্রদত্ত প্রোপার্টিজ অনুরন করে চাবি অংকন করবো। 

৭. এরপর প্রোপাটিজঅনুরন করে চিত্রের ন্যায় ক্রস সেকশনাল ভিটি-এর মাধ্যমে চাবির ঘাট, চাবি শেষ্ট ও বোর অংকন করবো । 

৮. সিলিন্ড্রিক্যাল অংশের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী সেন্টার লাইন ব্যবহার করবো । 

৯. অংকন যে মেজারমেন্ট অনুযায়ী করা হয়েছে সেগুলি ডাইমেনশন লাইনের মাধ্যমে দিয়ে দিবো। 

১০. একই পদ্ধতি অবলম্বন করে চিত্র অনুযায়ী ফ্লাট কী এবং কী ওয়ে এর ক্রসসেকশান অংকন করবো। 

১১. ড্রয়িং করার সময় কোন স্কেলেরিং এর ব্যবহার হলে সেটির অনুপাত ডুরিং শীটে উল্লেখ করবো

১২. কাজ শেষে সরঞ্জাম সমূহ পরিষ্কার করে যথা স্থানে সংরক্ষন করব।

 

সতর্কতা: 

১. কাজের সময় মার ব্যবহার করবো। 

২. সঠিক নিয়মে টেবিলে ড্রয়িং শীট স্থাপন করবো। 

৩. ড্রয়িং করার স্থানে পর্যাপ্ত লাইটিং এর ব্যবস্থা করে 

৪. সঠিক পরিমাণ বজায়রেখে ড্রয়িং শীটে বর্ডার লাইন টানৰ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পেনসিল সংগ্রহ ও সার্ফ করে নিবঅথবা লিড পেনসিল সেট করে নিবো। 

৫. ড্রয়িং-এর একি জায়গায় বাবার দাগ টানবো না, এতে ড্রয়িং এর সন্দৈয্য নষ্ট হবে। ৬. মাঝে মাঝে পরিষ্কার নেকরা দিয়ে হাত ও ড্রয়িং শীট পরিষ্কার করে নিবো।

অর্জিত দক্ষতা: চাবি ও চাবির ঘাট অংকনের দক্ষতা অর্জিত হয়েছে। যা বাস্তব কাজে যথাযথ ভাবে প্রয়োগ করা সম্ভব হবে।

 

 

common.content_added_by

ফাউন্ডেশন বোল্ট

209
209

বিভিন্ন প্রকার মেশিন, ইঞ্জিন বা ইস্পাতের কাঠামো কনক্রিট ভিভের সাথে আটকানোর কাজে ফাউন্ডেশন বোল্ড ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন প্রকার ফাউন্ডেশন বোল্ড বাজারে পাওয়া যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো অ্যাঙ্কর বোল্ড। হেডের গাঠনিক কাঠামোর উপর ভিত্তি করে এদের নামকরণ করা হয়েছে। বোল্টের মাথাকে কনক্রিটের সাথে সুসংহত ভাবে আটকে রাখার জন্য মাথাকে ডাটা বা অ্যাঙ্কর আকৃতির করা হয়েছে। নিচে চিত্রে বিভিন্ন ধরনের অ্যাঙ্কর বোল্ট দেখানো হয়েছ। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-

 

 

common.content_added_by

পিন ও কটার জোড়ের বর্ণনা

195
195

কটার ও পিন (Cotter and Pin )

কটার এক প্রকার চ্যাপ্টা (Flat) কোণাকৃতি ধাতু (wedge shaped piece)। একে আড়াআি কর্তন করলে আয়তকার সেকশন দেখা যাবে। সকল স্থানে এর পুরুত্ব সমান কিছু পুরো দৈর্ঘ্যের বরাবর চওয়া দিকে চ্যাপার করা। ট্যাপারের পরিমাণ সাধারণত ১:৪৮ থেকে ১:৩৬ পর্যন্ত হয়ে থাকে। কটারের প্রায় জ্ঞান কিছুটা গোলাকৃতি। কটার সব সময় রত বা বাক্সের অক্ষের সাথে সমকোণ ঢোকানো হয়। কটারের পুরুত্ব শ্যাফট ডায়ামিটারের ২৫% এবং চওড়া পুরুত্বের ৫ গুণ হয়ে থাকে।

অনুশীলন-১: একটি হেক্সাগোনাল নাট এবং ৩২.৩২ মিনি ব্যাস এবং ১২২.৫ মিমি. লম্বা একটি হেক্সাগোনাল হেডেড বোল্টের প্লান, এলিভেশন এবং সাইড ভিউ অংকন।

 

common.content_added_by

গিয়ারের বিভিন্ন অংশের কারিগরি নাম (২.৩)

511
511

গিয়ার (Gear): গিয়ার হচ্ছে এক প্রকার চাকা বা হুইল যা অনুরুপ আরেকটি চাকা বা হুইল এর সাথে মিশে এক শ্যাফট থেকে অন্য শ্যাফটে শক্তি স্থানারের জন্য ব্যাবহৃত হয়।

গিয়ার মেশিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টস। একটা মেশিনে বিভিন্ন ধরনের গিয়ার ব্যবহার করা হয়। পিয়ার দাঁত বিশিষ্ট এক ধরনের চাকা। পিয়ার পাওয়ার ট্রান্সমিশনের কাজে ব্যবহার করা হয়। পাওয়ারকে বিভিন্নভাবে প্রেরণ করার জন্য এক এক ধরনের গিয়ার ব্যবহার হয়ে থাকে। বড়ি ও দাঁতের গঠন কাঠামোর উপর ভিত্তি করে সচারাচর ব্যবহৃত গিয়ার ৬ প্রকার। যথা- 

  • স্পার গিয়ার 
  • হেলিক্যাল গিয়ার 
  • বিভেল গিয়ার 
  • ওয়ার্ম ও ওয়ার্ম হুইল
  • র‍্যাক ও পিনিয়ন এবং
  •  স্পাইরাল গিয়ার।

 

 

common.content_added_and_updated_by

স্পার গিয়ার বিভিন্ন টার্মস (৬.৯)

268
268

স্পার গিয়ারSpur Gear): 

সমান্তরাল এবং একই সমতলে অবস্থিত দুটি শ্যাফটের একটি হতে অন্যটিতে শক্তি পরিবহন করতে যে পিয়ার ব্যবহার করা হয় ভাবে স্পরগিয়ার বলে। এ গিয়ারের দাঁতগুলো হুইলের অক্ষের সমান্তরাল থাকে। মটরগাড়ি, লেদ (Lathe) মেশিন, মিলিং (Milling) মেশিন, ক্রেন (Crane), মেটাল কাটিং মেশিন ইত্যাদির পিয়ার বক্সে (Gear Box) এটি ব্যবহৃত হয়। নিচের চিত্রে একটি স্পার গিয়ারের বিভিন্ন অংশের নাম দেওয়া হয়েছে।

স্পার গিয়ারের বিভিন্ন অংশ ও সংজ্ঞাসমূহ- 

নিচের টেবিলে স্পার গিয়ার-এর বিভিন্ন অংশের সংজ্ঞা সমূহ দেওয়া হয়েছে-

 

মডিউল (Module);

মডিউল বলতে বুঝায় পিচ ডায়ামিটার এবং পিয়ারের দাত সংখ্যার অনুপাত, m=d/2। সার্কুলর পিচ P=pd/N=pm। সাধারন ব্যবহারের জন্য যে সকল মডিউল ব্যবহার করে তা হলো- ১, ১.২৫, ১.৫, ২, ২.৫, ৩, ৪, ৫, ৬, ৮, ১০, ১২, ১৬, ২০, ২৫, ৩২, ৪০ এবং ৫০।

 

common.content_added_by

স্পার গিয়ার তৈরির /অংকনের দক্ষতা অর্জন (জব-৫)

250
250

ইঞ্জিনিয়ারিং কর্মকান্ডে ভিন্ন ধরনের স্পারগিয়ার ব্যবহৃত হয়। নিম্নে স্পারলিয়ার অংকনের পদ্ধতি আলোচনা করা হল।

পারদর্শিতার মানদন্ড

১. স্বাস্থ বিধি মেনে ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা পোষাক (পিপিই) পরিধান করা, 

২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রভুত করা; 

৩. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুল্স, মেটেরিয়ালস ও ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ ও প্রস্তুত করা; 

৪. ড্রয়িং করার নিমিত্তে ড্রয়িং শীট প্রস্তুত করা; 

৫. প্রদত্ত ড্রয়িং সম্পন্ন করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করা; 

৬. প্রদত্ত ড্রয়িং অনুসারে কাজের ধাপ অনুসরন করে বিভিন্ন ধরনের স্পারলিয়ার অংকন সম্পন্ন করা; 

৭. কাজ শেষে কাজের স্থান ও যন্ত্রপাতি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং চেক লিষ্ট অনুযায়ী যথা স্থানে সংরক্ষন করা;

 

অংকনের ধাপ (স্পোর গিয়ার) :

১. প্রয়োজনীয় পিপিই নির্বাচন করে সংগ্রহ করব এবং পরিধান করবো। 

২. সঠিক সাইজের ড্রয়িং শীট নির্বাচন করব এবং মাপ অনুযায়ী বডার লাইন টানবো । 

৩. প্রয়োজন অনুযায়ী পেনসিল সিলেকশান করে ব্যাবহার করবো। 

৪. এরপর স্পার গিয়ার এর প্রোপাটিজ ভালভাবে স্টাডি করে নিৰো । 

৫. এর পর প্রোপাটিজ অনুযায়ী স্পার গিয়ারচিত্র অনুসরন করে অংকন শুরু করবো। 

৬. প্রথমে প্রোপাটিজ অনুসরন করে চিত্রের ন্যায় স্পার গিয়ার -এর ইন-সাইড সারকেল, আউট-সাইড, পিচ সারকেল, এডেনডাম সারকেল, ডিডেনডাম সারকেল অংকন করবো।

৭. এডেনডাম, ডিডেনডাম, পিচ, প্রেসার এ্যাঙ্গেল, ক্লিয়ারেন্স, ঠিক করে নিবো। 

৮. এরপর প্রদত্ত ডাটা অনুসারে টিথ ওয়াইড, টিথ লেন্থ, টিথ ডেফথ অনুযায়ী লিয়ার টিথ অংকন করবো। 

৯. প্রয়োজন অনুযায়ী সেন্টার লাইন ব্যবহার করবো । 

১০. অংকন যে মেজারমেন্ট অনুযায়ী করা হয়েছে সেগুলি ডাইমেনশন লাইনের মাধ্যমে দিয়ে দিবো। 

১১. ড্রয়িং করার সময় কোন ক্ষোলিং এর ব্যবহার হলে সেটির অনুপাত ড্রয়িং শীটে উল্লেখ করবো। 

১২. কাজ শেষে সরঞ্জাম সমুহ পরিষ্কার করে যথা স্থানে সংরক্ষন করবো।

 

সতর্কতা: 

১. কাজের সময় মাস্ক ব্যবহার করবো। 

২. সঠিক নিয়মে টেবিলে ড্রয়িং শীট স্থাপন করবো। 

৩. ড্রয়িং করার স্থানে পর্যাপ্ত লাইটিং এর ব্যবস্থা করে নিবো। 

৪. সঠিক পরিমাপ বজায় রেখে ড্রয়িং শীটে বর্ডার লাইন টানব এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পেনসিল সংগ্রহ ও সার্ফ করব অথবা লিড পেনসিল সেট করে নিবো। 

৫. ড্রয়িং-এর একই জায়গায় বারবার দাগ টানবো না, এতে ড্রয়িং এর সোন্দর্য নষ্ট হবে। 

৬. মাঝে মাঝে পরিষ্কার নেকরা দিয়ে হাত ও ড্রয়িং শীট পরিষ্কার করে নিবো।

অর্জিত দক্ষতা: স্পার পীয়ার অংকনের দক্ষতা অর্জন হয়েছে যা বাস্তব কাজে যথাযথ ভাবে প্রয়োগ করা সম্ভব হবে

 

 

common.content_added_by

বিভেল গিয়ার বিভিন্ন টার্মস

189
189

বেভেল গিয়ার: অক্ষদ্বয় পরস্পরকে ছেদ করে এবং একই সমতলে অবস্থিত দুটি শ্যাফটকে সংযোগ করতে বা শক্তি পরিবহন করাতে যে গিয়ার ব্যবহার করা হয় তাকে বেভেল গিয়ার বলে। হিন্ন শীর্ষকোণ (Truncated Cone) এর উপরিভাগে দাঁত উৎপন্ন হলে দাঁতগুলো দেখতে যেমন নত বা ইনক্লাইন্ড দেখায়, এ জাতীয় গিয়ারের দাঁতগুলো তেমন দেখায়। এর শ্যাফট দু'টির অক্ষ একই তলে অথচ অসমান্তরাল (সাধারণত ৯০° কোণে) থাকে অর্থাৎ অক্ষ দু'টিকে বর্ধিত করলে এরা পরস্পরকে ছেদ করে।ড্রিলিং, মিলিং, শেপিং ইত্যাদি মেশিনে লম্বা শ্যাফট হতে অনুভূমিক শ্যাফটে শক্তি পরিবহনে এ-জাতীয় গিয়ার ব্যবহৃত হয়। নিচে এক জোড়া বিভেল গিয়ারের চিত্র দেয়া হল ।

 

 

common.content_added_by

বিভেল গিয়ার অংকনের দক্ষতা অর্জন (জব-৬)

200
200

ইঞ্জিনিয়ারিং কর্মকান্ডে ভিন্ন ধরনের বিভেল গিয়ার ব্যবহৃত হয়। নিয়ে বিভেল গিয়ার অংকনের পদ্ধতি আলোচনা করা হল।

পারদর্শিতার মানদন্ড:

১. স্বাস্থ বিধি মেনে ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা পোষাক (পিপিই) পরিধান করা; 

২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা; 

৩. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুল্স, মেটেরিয়ালস ও ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ ও প্রস্তুত করা 

৪. ড্রয়িং করার নিমিত্তে ড্রয়িং শীট প্রস্তুত করা; 

৫. প্রদত্ত ড্রয়িং সম্পন্ন করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করা; ; 

৬. প্রদত্ত ড্রয়িং অনুসারে কাজের ধাপ অনুসরন করে বিভিন্ন ধরনের বিভেলগিয়ার অংকন সম্পন্ন করা; 

৭. কাজ শেষে কাজের স্থান ও যন্ত্রপাতি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং চেক লিষ্ট অনুযায়ী যথা স্থানে সংরক্ষনকরা;

অংকনের পদ্ধতি/ধাপ: 

১. প্রয়োজনীয় পিপিই নির্বাচন করে সংগ্রহ করব এবং পরিধান করবো। 

২. সঠিক সাইজের ড্রয়িং শীট নির্বাচন করব এবং মাপ অনুযায়ী বডার লাইন টানবো ।

৩. প্রয়োজন অনুযায়ী পেনসিল সিলেকশান করে ব্যবহার করবো। 

৪. এরপর স্পার গিয়ার এর প্রোপার্টিজ ভালভাবে স্টাডি করে নিবো 

৫. এর পর প্রোপাটিজ অনুযায়ী স্পারগিয়ার অংকন শুরু করবো। 

৬. প্রথমে প্রোপাটিজ অনুসরন করে চিত্রের ন্যায় বিভেল গিয়ারের-এর ইন-সাইড সার্কেল, আউট-সাইড সার্কেল, পিচ সার্কেল, এডেনডাম সার্কেল, ডিডেনডাম সার্কেল অংকন করবো। 

৭. এডেনডাম, ডিডেনডাম, পিচ, প্রেসার এ্যাঙ্গেল, ক্লিয়ারেন্স, ঠিক করে নিবো। 

৮. এরপর প্রদত্ত ডাটা অনুসারে টিথ ওয়াইড, টিথ লেংথ, টিথ ডেফথ ও টিথ এ্যাঙ্গেল অনুযায়ী গিয়ার টিথ অংকন করবো। 

৯. প্রয়োজন অনুযায়ী সেন্টার লাইন ব্যবহার করবো। 

১০. অংকন যে মেজারমেন্ট অনুযায়ী করা হয়েছে সেগুলি ডাইমেনশন লাইনের মাধ্যমে দিয়ে দিবো 

১১. ড্রয়িং করার সময় কোন স্কোলিং এর ব্যবহার হলে সেটির অনুপাত ড্রয়িং শীটে উল্লেখ করবো। 

১২. কাজ শেষে সরঞ্জাম সমূহ পরিষ্কার করে যথা স্থানে সংরক্ষন করবো।

 

সতর্কতাঃ 

১. কাজের সময় মাস্ক ব্যবহার করবো। ২. সঠিক নিয়মে টেবিলে ড্রয়িং শীট স্থাপন করবো। 

৩. ড্রয়িং করার স্থানে পর্যাপ্ত লাইটিং এর ব্যবস্থা করে নিবো। 

৪. সঠিক পরিমাপ বজায় রেখে ড্রয়িং শীটে বর্ডার লাইন টানব এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পেনসিল সংগ্রহ ও সার্ফ করব অথবা লিড পেনসিল সেট করে নিবো। 

৫. ড্রয়িং-এর একই জায়গায় বারবার দাগ টানবো না, এতে ড্রয়িং এর সোন্দর্য্য নষ্ট হবে। 

৬. মাঝে মাঝে পরিষ্কার নেকরা দিয়ে হাত ও ড্রয়িং শীট পরিষ্কার করে নিবো।

 

অর্জিত দক্ষতা: বিভেল গিয়ার অংকনের দক্ষতা অর্জিত হয়েছে। যা বাস্তব কাজে যথাযথ ভাবে প্রয়োগ করা সম্ভব হবে।

 

 

common.content_added_by

ওয়ার্ম ও ওয়ার্মগিয়ারের বিভিন্ন টার্মস

200
200

ওয়ার্ম গিয়ার:যে গিয়ারের অক্ষদ্বয় পরস্পর ছেদ করেনা অথচ সমকোণে অবস্থান করে এক শ্যাফট হতে অন্য শ্যাফটে ঘূর্ণনগতি কমিয়ে শক্তি সঞ্চালনে ব্যবহার করা হয় তাকে ওয়ার্ম গীয়ার বলে। এটা দেখতে স্ক্র থ্রেডের মত দেখায়। ডিভাইডিং হেড, হার্বেষ্টিং মেশিন, চেইন ড্রাইভ ইত্যাদিতে এ গীয়ার ব্যবহৃত হয়।

fa=প্রেসার অ্যাঙ্গল, ওয়ার্মের ফেইসের চওড়া = গিয়ারের বাইরের ব্যাসের পরিধি ও ওয়ার্মের বাইরের ছেদ বিন্দুদ্বয়ের দূরত্ব।

 

 

common.content_added_by

হেলিক্যাল গিয়ার

244
244

হেলিক্যাল গিয়ার: স্পারগিয়ারের দীতুগুলো হুইলের অক্ষের সমায়রানে না হয়ে যদি কিছু বাঁকা হয়, তবে তাকে হেলিক্যাল গীয়ার বলে। একই তলে যেকোন কৌণিক অবস্থানে অক্ষদ্বয় পরস্পরকে ছেদ করেনা এমন দুটি শ্যাফটে শক্তি পরিবহন করতে হেলিক্যাল গিয়ার ব্যবহার হয়। ডাবল হেলিক্যান গিয়ারকে হেরিংবন গিরার বলে। গিয়ারের ঘূর্ণন কালে শব্দ কমানো এবং উত্তম পরিবহনের জন্য হেলিক্যাল গিরার ব্যবহার করা হয়। রোলিং মিল, ষ্টীম টারবাইন ইত্যাদিতে হেলিক্যাল পিয়ার ব্যবহৃত হয়।

 

 

common.content_added_and_updated_by

গিয়ার ও পিনিয়ন (৬.১৩)

424
424

গিয়ার হল এক ধরনের দাঁতযুক্ত ঘূর্ণনশীল যন্ত্র, যা আরেকটি দাঁতযুক্ত অংশের সাথে যুক্ত হয়ে টর্ক স্থানান্তর করে। একই দলে ক্রিয়ারত দুই বা ততোধিক গিয়ারকে গিয়ার ট্রেইন বলা হয়, এবং এর মাধ্যমে যান্ত্রিক সুবিধা লাভ করা যায় বিধায় একে সরল যন্ত্র বলা যেতে পারে। গিয়ারযুক্ত যন্ত্রপাতি একটি শক্তি উৎসের গতি, তার মান ও দিক পরিবর্তন করতে পারে। গিয়ার সাধারণত অন্য একটি গিয়ারের সাথে যুক্ত হয়, তবে গিয়ার অঘূর্ণনশীল দাঁতযুক্ত যন্ত্রাংশের সাথেও যুক্ত হতে পারে, যাকে র‍্যাক বলা হয়। এর মাধ্যমে সরল রৈখিক গতি সৃষ্টি করা হয়।যখন ভিন্ন দাঁতের দুটি গিয়ার যুক্ত করা হয় তখন এক ধরনের যান্ত্রিক সুবিধা পাওয়াযায়, তাদের ঘুর্ণন গতি এবং টর্ক একটি সরল অনুপাত মেনে চলে।

গিয়ার ও পিনিয়নের পার্থক্য : 

দুটি গিয়ারের মধ্যে বড়টিকে গিয়ার এবং ছোটটিকে পিনিয়ন বলে। সাধারণভাবে ২.৫ সে.মি ব্যাসের নিচের গিয়ারকে পিনিয়ন বলে।

র‍্যাক ও পিনিয়ন: 

অসীম ব্যাস বিশিষ্ট বা সোজা চ্যাপ্টা ধাতব পাতের উপরিতলের আড়াআড়ি সরু দাঁত বিশিষ্ট স্পার গিয়ারকে র‍্যাক বলে।র‍্যাক এর সাথে সংযুক্ত স্পার গিয়ারকে পিনিয়ন বলে। র‍্যাক পিনিয়নের মাধ্যমে শক্তি সঞ্চালন করে।র‍্যাক এর পিচ লাইন একটি সরলরেখা যার জন্য এর সাহায্যে চক্রগতিকে রৈখিক গতিতে পরিবর্তন করা যায়।

 

 

common.content_added_by

প্রশ্নমালা-২

196
196
common.please_contribute_to_add_content_into প্রশ্নমালা-২.
common.content
টপ রেটেড অ্যাপ

স্যাট অ্যাকাডেমী অ্যাপ

আমাদের অল-ইন-ওয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সীমাহীন শেখার সুযোগ উপভোগ করুন।

ভিডিও
লাইভ ক্লাস
এক্সাম
ডাউনলোড করুন
Promotion